আমি মনে করি দেশের কম বেশী সব মানুষের হাতে গোনা কয়েকটা নাস্তা রেসিপি শিখে রাখাটা জরুরী। কেননা বাসায়া যদি হুট হাট মেহমান আসে অথবা যদি খিদের তারনায় থাকতে না পেরে কিছু খেতে মন চায়; তাহলে ঝটপট নাস্তা তৈরী করে ফেলাটা খুবই জরুরী !
তাছাড়া আবার হাইড্রো ক্লরিক এসিডের দায় টেকা মুশকিল হয়ে যাবে ! আর তাই আজকের আর্টিকেলে আমি শেয়ার করতে চলেছি, বহুল প্রচলিত এবং ঝটপট কিছু নাস্তা রেসিপি, যেগুলো আপনার বাসায় একবার হলেও চেষ্টা করা উচিৎ। হয় বিকেলের বিকালের নাস্তা নয়তো মেহমানদারীতায় !
তো চলুন, দেখে নেওয়া যাক !
বিকালের নাস্তার রেসিপি দেখে নেওয়া যাকঃ
আলুর নাস্তা রেসিপি –

আলুর খুব সহজ একটি নাস্তা রেসিপি রয়েছে।আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই!
কীভাবে তৈরী করবেন?
প্রথমে একটি পাত্রে কিছুটা আলু সেদ্ধ করে নিয়ে সেটা ভালো ভাবে স্ম্যাশ করতে হবে।খুব ভালো ভাবে কাজটা করতে হবে।এর পর তার ভেতরে মিশিয়ে দিতে হবে কিছুটা ময়দা,তারপর আবার ভালো ভাবে মোথে নিতে হবে।এর পর তার সাথে যুক্ত করতে হবে কিছুটা গরম মশলা,মরিচের গুড়ো,হলুদের গুড়ো আর ধনিয়া গুড়ো।
এর পর ভালো ভাবে সেটা মোথে নিতে হবে।আর অবশ্যই একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন।আলুর পরিমানের চেয়ে ময়দার পরিমান যেনো অনেক কম হয়! আপনার হাত আন্দাজে,তুলনামূলক হারে নিতে হবে।
এর পর সেগুলো খুব সুন্দর মতো একটি শেপ করে নিতে হবে।সব শেষে ডুবো তেলে ভেজে নিয়ে গরম গরম পরিবেশ করতে পারেন।চাইলে কিছুটা সস এবং মেয় নিতে পারেন!
পাউরুটি দিয়ে নাস্তা রেসিপি
চাইলে পাউরিটি দিয়ে নাস্তা রেসিপি তৈরী করতে পারেন ঝটপট,এবং কোনো ঝামেলা ছাড়াই !
কীভাবে তৈরী করব?
প্রথমে একটি পাত্রে ৪ টি ডিম ভেঙে ভালো ভাবে ফেটে নিতে হবে।এর পর তার ভেতরে কিছুটা চিনি দিয়ে আবার ভালো ভাবে ফেটে নিতে হবে।আমি চিনির পরিমান এখানে উল্লেখ করলাম না!আপনাদের আধ্যমতো নিতে পারেন।
এর পর তার ভেতরে কিছুটা লবণ দিয়ে আবার ভালো ভাবে ফেটে নিতে হবে।’
এর পর কয়েক টুকরো পাউরিটি নিয়ে ভালো ভাবে সেই মিশ্রণের ভেতরে চুবিয়ে গরম ডোবা তেলে ভেজে নিতে হবে।
এবং এভাবেই তৈরী হয়ে যাবে অসাধারণ স্বাদের মজাদার পাউরুটি নাস্তা রেসিপি! আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
কি একদম ইজি নাস্তা রেসিপি না ? আমরা হরহামেশাই এমন ইজি নাস্তা রেসিপি শেয়ার করে থাকি! আর তাই আমাদের ওয়েব সাইটের সাথেই থাকুন!
সর্বশেষঃ
- চালতার আচার রেসিপি- চালতার আচার হবে এখন বাড়িতেই!
- এই শীতে ফুলকপির তরকারি এর মজাদার রেসিপি দেখে নিন!
- দই পটল রেসিপি-একদম ভিন্ন রকমের একটি রেসিপি!
- ডালিয়া রেসিপি – ভিন্নধর্মী একটি খিচুরী রেসিপি!
- মজাদার সেমাই রান্না করুন বাসায় !
ঝাল নাস্তা রেসিপি –
গুগলে দেখলাম অনেকে ঝাল নাস্তার আইটেম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন! তো আমি একটা শেয়ার করতে চলেছি।এবং এই রেসিপিটা আমার খুবই পছন্দের।বিশেষ করে অধিকাংশ দিনের বিকেলের নাস্তার রেসিপিতে এটা আমি চাইই চাই!
যাই হোক ! কুশলী পিঠা/কুষাল পিঠা আপনারা নিশ্চই কম বেশী সব খেয়েছেন!্মিষ্টি এক ধরণের পিঠা!কখনো কি ভেবে দেখেছেন,কেমন হতো যদি আপনি এতে মিষ্টি পুর না দিয়ে ঝালের একটা পুর দিয়ে মুখ বন্দী করে গরম তেলে ভেজে তুলে,সস দিয়ে মুখে পুরে দিতেন?
নিশ্চই এই বাধ্যে বুঝে গিয়েছেন কিভাবে তৈরী করতে হবে রেসিপিটা ?
যদি এখনো না বুঝে থাকেন তাহলে আমি ভালো ভাবে একটু সংক্ষিপ্ত ভাবে দেখিয়ে দিচ্ছি !
এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে কিছু আলু।ভালো ভাবে কুচি কুচি/ঝুড়ি করে কেটে নিতে হবে।এর পর ভালো করে আলুর একটা ভাজি ভাজতে হবে।আরো স্বাদ বেড়ে যাবে যদি আপনি কিছুটা টেস্ট মেকার এবং মটরশুটি এর যাথে যুক্ত করেন।
তার পর,কুষলী পিঠার মতো করে,ময়দার ডো বানিয়ে ,গ্লাস দিয়ে সেগুলোক কেটে আলুর পুর ভরে মুখ লাগিয়ে দিতে হবে।
এর পর গরম তেলে ভেজে তুলতে হবে গরম পিঠাগুলো!
কেমন লাগবে বলুন তো ? বাসায় কি কখনো চেষ্টা করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে আর দেরী কিসের !
আলু আর ডিম দিয়ে নাস্তা
আলু আর ডিম দিয়ে নাস্তা তৈরী করার কথা ভাবছেন?এইতো আমরা তো আছি!চাইলেই আলু আর ডিম দিয়ে অসাধারণ একটি কম্বিনেশনের নাস্তা তৈরী করতে পারবেন ঝটপট।
এর জন্য প্রয়োজন পড়বে একটা ডিম আর কিছুটা আলু আর কিছুটা ময়দার!
একটি পাত্রে কিছুটা আলু সিদ্ধ করে নিয়ে তার ভেতরে কিছুটা ময়দা আর ডিম ভেঙে দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে।তার পর তার ভেতরে কিছুটা হলুদের গুড়ো,কিছুটা মরিচের গুড়ো কিছুটা ধনিয়া গুড়ো ইত্যাদি ভালো করে মিশিয়ে একটা ডো তৈরী করে নিতে হবে।
তার পর রুটির মতো করে সেগুলোকে বেলে ভালো করে,রুটীর দুই দিকে তেল ভরিয়ে রেখে দিতে হবে।
কিছুক্ষণ রেখেও দেওয়ার পর একটি আলাদা পাত্রে কিছুটা তেল নিয়ে তার ভেতরে রুটি গুলো দিয়ে মুচমুচে করে ভেজে তুলতে হবে ! ব্যাস ! খুব অল্প সময়ের ভেতরে অসাধারণ স্বাদের আলু আর ডিম দিয়ে নাস্তা তৈরী করা হয়ে গেলো!
চাইলে আরেক রকম ভাবে এটা করতে পারেন।
প্রথমে একটি অথবা দুইটি ডিম ভালো করে ভেজে ঝুড়ি করে বা কুচি করে নিতে হবে ।এর পর তার সাথে কিছুটা আলু সেদ্ধ যোগ করে একটি পুর তৈরী করে নিতে হবে।
অতঃপর কিছুটা ময়দা নিয়ে একটি ডো তৈরি করে নিতে হবে।
তার পর নিজের ইচ্ছে মতো একটা শেপের পিঠে তৈরী করে সেখানে আলু আর ডিমের কুচি পুর হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।চাইলে আপনি সিঙারার শেপ ব্যবহার করতে পারেন! এবং এভাবেই খুব অল্প সময়ের ভেতরে তৈরী হয়ে যাবে চটজলদি নাস্তা!
সুজির নাস্তা রেসিপি
সুজির নাস্তা রেসিপি সম্পর্কে আমার খুব একটা ধারণা ছিলো না।তবে একটু গুগল ঘাটাঘাটি করে একটা মন মতো নাস্তা রেসিপি খুজে পেলাম!
আশা করি আপনাদেরও ভাল্লাগবে!
প্রথমে একটি পাত্রে কিছুটা সুজি নিয়ে সেটা ভালো ভাবে পানি দিয়ে মিশিয়ে একটা ডো তৈরী করে নিতে হবে বা নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।চাইলে কিছুটা ময়দা যোগ করে দিতে পারেন।
এরপর পানি দিয়ে ভালো ভাবে ডোটা তৈরী করা হয়ে গেলে সেগুলো ভালো ভাবে তেল দিয়ে ভেজে তুলতে হবে।একটু খেয়াল রাখবেন যেনো খুব একটা তেল না থাকে।
এর পর আরেকটা পাত্রে কিছুটা পানি নিয়ে একটি সুরা তৈরী করে নিতে হবে।যার জন্য কিছুটা চিনি যোগ করে,চুলোয় দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে।
এরপর ভেজে রাখা সুজির পিঠাগুলো চিনির সুরায় ডুবোতে হবে। ওহ ! আরেকটা জিনিস খেয়াল রাখবেন,যেনো খুব একটা বেশীক্ষণ চিনির ভেতরে না থাকে! তা না হলে কিন্তু সুজি গলে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে!
এছাড়া আরো অনেক রকমের রেসিপি রয়েছে যা চাইলে আপনি নাস্তা হিসেবে তৈরী করতে পারেন।আসলে আমরা বাঙালী খাবার দাবারের ব্যাপারে অনেক ক্রিয়েটিভ ! আর তার উজ্জ্বল প্রমান হলো বিকেলের নাস্তা।চাইলে যে কেওই বিকেলের নাস্তায় নিজের এই ক্রিয়েটিভিটি ব্যবহার করে নিত্যনতুন নাস্তা তৈরী করতে পারেন…
অনেকে বাইরে থেকে নাস্তা কিনে নিয়ে আসে!কেনো জানিনা এই জিনিসটা আমার একদমই পছন্দ হয়না!
অনেক সময় সেগুলো খুব একটা স্বাস্থ্যকর হয় না,আর এমনিতেও বাড়িতে নাস্তা তৈরী করার ভেতরে অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে যা বলে বোঝানো যাবে না !
খিচুড়ি রান্নার রেসিপি দেখে নিন

খিচুড়ি রান্নার রেসিপি – খিচুড়ি আমাদের দেশে একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। অনেকেই সকালের নাস্তা হিসেবে এটি কে খেয়ে থাকে। তবে অনেকের পেট গরম হওয়ার আশঙ্কা থাকে বিধায় ছুটির দিনে মানুষ খিচুড়ি খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে। আর আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে এই সুস্বাদু এবং ঐতিহ্যবাহী খিচুড়ি রান্নার রেসিপিটা নিয়ে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক!
খিচুড়ি রান্না করার জন্য যে সকল উপাদানের প্রয়োজন পড়বে
ভালো রান্নার জন্য ভালো উপকণের প্রয়োজন। কিন্তু পাবেন কোথায়? যারা বলছে আমাদের পণ্য অর্গানিক, খাঁটি, বিষমুক্ত ও নিরাপদ, তাদের কথা কতটুকু
বিশ্বাস করা যায়? অথচ আপনার-আমার নিরাপদ খাদ্য চাই। দেখুন নিরাপদ খাদ্য তালিকা ও মূল্য
- চাল 2 কাপ
- মসুরের ডাল আধা কাপ
- আদা বাটা 1 চা চামচ
- রসুন বাটা 1 চা চামচ
- এলাচ 2 অথবা তিনটি
- সরিষার তেল 1 কাপ
- লবণ পরিমাণমতো
- হলুদের গুঁড়া 1 চামচ
- চাইলে পরিমাণমতো সবজি যুক্ত করে নিতে পারেন।
- পানি লাগবে পরিমাণমতো
- মরিচের গুঁড়া এবং হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো
- কাঁচামরিচ চার থেকে পাঁচটা
- লবণ পরিমাণমতো
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক খিচুড়ি তৈরীর প্রস্তুত প্রণালী বা খিচুড়ির রেসিপি
খিচুড়ি তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে ছাল গুলো বেশ ভালোভাবে ধুয়ে সে গুলোকে 4 থেকে 5 ঘণ্টার জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে ভালোভাবে উপকরণ গুলো মেখে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে।
অবশ্যই পরিমাণমতো কিছুটা পানি সংযোজন করতে হবে তা না হলে কিন্তু খিচুড়ি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। যদি আপনি পরিমাণমতো সবজি সংযোজন করতে চান তাহলে সেগুলো ভালো করে ধুয়ে কেটে খিচুড়ির ভেতরে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে।
খিচুড়ি টিকে যদি আরো সুস্বাদু করতে চান তাহলে হরেক রকমের ডাল ব্যবহার করতে ভুলবেন না। তবে যদি বাজেট কম হয় এবং সাধ্যের মধ্যে কিছু করতে চান তাহলে তার দরকার পড়বে না।
চুলায় বসিয়ে দেয়ার পর আস্তে আস্তে চালগুলো ফুটতে শুরু করবে এবং পানি আস্তে আস্তে শুকিয়ে আসবে।একপর্যায়ে পানি শুকিয়ে আসলে গরম গরম খিচুড়ি নামিয়ে ফেলুন চুলো থেকে।
আমাদের নতুন সাইট ফুড লিংক বিডি ভিসিট করুন !
তবে আপনি যদি চান তাহলে কিছুটা পটল অথবা বেগুনের ভাজি অথবা যে কোন সবজির ভর্তা কিছুটা আয়োজন করতে পারেন।
খিচুড়ি বাঙালির জাতির একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার, এটি অত্যন্ত মুখরোচক। এর সাথে আপনি যত ব্যতিক্রমধর্মী উপকরণই যোগ করবেন এর স্বাদ আরও ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে।
কিভাবে খাবেন খিচুরী?
ডিম মামলেট ও খিচুড়ি যেন একে অন্যের পরিপুরক। তবে ডিমের বিভিন্ন রেসিপি দিয়েও খিচুড়ি বেশ ভালো লাগে। আবার অনেকে চিকেন ফ্রাই দিয়েও
খিচুড়ি পছন্দ করে।
Tags: নাস্তা রেসিপি, রান্নার রেসিপি নাস্তা, বিকালের নাস্তা, বিকেলের নাস্তা, ঝাল নাস্তা রেসিপি, ডিমের নাস্তা রেসিপি, বিকালের নাস্তার রেসিপি, পাউরুটি দিয়ে নাস্তা রেসিপি, ময়দা দিয়ে সহজ রেসিপি, বিকেলের নাস্তার সহজ রেসিপি, আলু দিয়ে বিকেলের নাস্তা, সকালের নাস্তা রেসিপি
তো আমাদের শেয়ার করা নাস্তা রেসিপি আপনার কেমন লাগলো? আশা করি ভালো লেগেছে!যদি ভালো লেগে থাকে,তাহলে আমাদের কমেন্টে জানাবেন! ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন-আল্লাহ হাফেজ!