বাঙালী সব ধরণের খাবারেই প্রচুর পরিমানে মসলার ব্যবহার করে থাকে৷ হোক!সে বিয়ে বাড়ির ভারী ভোজ আর বিকেলের হাল্কা নাস্তা!তবে ওয়েস্টার্ন থেকে যে সব খাবার-দাবার একালে মানুষ আয়ত্ব করেছে,তাতে খুব একটা মশলাপাতির প্রয়োজন হয়না৷ আর তেমনই একটি মজাদার আর ঝটপট নাস্তা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।যা ছোট বড় সবার পছন্দের খাবার।
ফেঞ্চ ফ্রাই আমাদের কাছে মোটামোটি পরিচিত একটি হাল্কা খাবার৷অনেকেই ভাববেন, ফ্রান্স বা ফ্রেঞ্চ থেকে এসেছে বিধায় এর নাম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই! তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এর উতপত্তি ফ্রান্সে নয়৷ বরং তার থেকে বেশ খানিকটা দূরে, ইট্যালিতে৷
আমাদের নতুন সাইট ফুড লিংক বিডি ভিসিট করুন !
যাই হোক!আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি নিয়ে৷
অনেকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বাইরে থেকে কিনে খান৷ তবে তা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এটি তৈরীতে বেশ তেল খরচ হয়। তাই অসাধু ব্যবসায়ী পুরাতন তেল ৷তাই চাইলে আপনি বাসায় এটি তৈরী করতে পারবেন,ঝটপট৷
তো চলুক জেনে নেওয়া যাক…
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি তৈরিতে যা যা উপকরণের প্রয়োজন পড়বেঃ
ভালো রান্নার জন্য ভালো উপকণের প্রয়োজন। কিন্তু পাবেন কোথায়? যারা বলছে আমাদের পণ্য অর্গানিক, খাঁটি, বিষমুক্ত ও নিরাপদ, তাদের কথা কতটুকু
বিশ্বাস করা যায়? অথচ আপনার-আমার নিরাপদ খাদ্য চাই। দেখুন নিরাপদ খাদ্য তালিকা ও মূল্য
- আলু(বড় সাইজের হলেন্ডার)
- তেল
- লবন
মাত্র ৩টি উপকরণ দিয়ে ঝটপট তৈরী করে ফেলতে পারেন সুস্বাদু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ।
প্রথমে আলুগুলোর খোসা ভালোভাবে ছাড়িয়ে ,আলুগুলো লম্বা-লম্বা করে কেটে নিন৷অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন,আলু লম্বা-লম্বি না কেটে গোলভাবে কাটলে সমস্যা কি!
তাহলে সেটা আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই থাকবেনা৷ যাই হোক!কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন৷ তবে ভাজতে আর দেখতে এই লম্বা সাইজই ভালো।
এরপরে আলুগুলোভাবে ভালো ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে, লবন দিয়ে মেখে। তারপর সেগুলোকে ডুবো তেলে ভেজে তুলে নিন৷ সাধারণত ডুবো তেলে ভাজলে আলুগুলো দারুন সোনালী রঙ ধারণ করে৷ দেখতে ও খেতে এক কথায় অসাধারণ লাগে!
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানোর ভিন্ন পদ্ধতি
এই পদ্ধতি আগের মতোই তবে ভিন্নতা এর বানানোর পদ্ধতিতে।প্রথমেই আলু নিয়ে ভালোকরে ধুয়ে তা কেটে নিন। ঠান্ডা পানিতে ভিজেয়ে রাখতে হবে। যাতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইগুলো মচমচে থাকে।এর পর হিমশীতল ঠান্ডা পানি থেকে উঠিয়ে কিচেন টাওয়াল এর সাহায্য নিয়ে পানি শুকিয়ে সাথে সাথে ডুবো গরম তেলে ভাজুন।ভাজার সময় বেশি আলু তেলে এক সাথে দিবেন না।এতে নাড়তে অসুবিধা হয়।
কিছুক্ষণ তেলে ভালো করে নেড়ে চেড়ে বাদামি করে ভেজে নিন। আর গরম থাকা অবস্থাই তাতে লবন আর মসলা যোগ করুন। এতে খেতে বেশ মজা হবে।অল্প সময়ে তৈরি সুস্বাদু এই খাবার।
খুব সহজ রেসিপি তাইনা?একটা ফানি ফ্যাক্ট বলি,যা জানার পর আপনি অবাক হয়ে বাধ্য হবেন৷
পাশ্চাত্য দেশে এক ধরণের বিরল রোগ রয়েছে, যাকে বলা হয়ে থাকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ফোবিয়া৷অর্থাৎ এই রোগে আক্রান্ত মানুষ সকাল-সন্ধ্যা কেবল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খায় এবং, দিন যতো যায় তাদের স্থুলতা ততো বৃদ্ধি পেতে থাকে৷
অস্বাস্থ্যকর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কি ক্ষতি করতে পারে?

নিশ্চই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সুস্বাদু একটি খাবার, তবে বাজারে যা পাওয়া যায় তা অস্বাস্থ্যকরও বটে। কারণ বাজারের মুখে জল আনা এই খাবারটি অস্বাস্থ্যকর আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভাজা হয় এবং তারপর এর উপর প্রচুর লবন ঢালা হয়। বাড়িতেই আলুগুলোকে স্বাস্থ্যকর তেল, যেমন অলিভ অয়েলে ভাজি এবং লবন ব্যবহার করে স্বস্থ্যকর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করুন।
ভাজার টিপসঃ
ডুবো তেলে এটি ভালো হয়,তাই ভাড়ি তলা যুক্ত পাতিল ব্যবহার করবেন।তেল গরম হলে চুলার তাপমাত্রা বাড়াবেন না।
ট্যাগ লাইনঃ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই,রেস্টুরেন্ট স্টাইলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই,মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
আশা করি ফুডলিংক বিডির এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি টি ভালো লেগেছে। কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে দয়া করে জানাবেন।
ও হাঁ, আপনিও কিন্তু এরকম সুন্দর সুন্দর ফুড রেসিপি লিখতে বা ইউটিউবে রান্নার ভিডিও বানাতে পারেন! তাহলে এখনি যোগাযোগ করুন।
আরও ভালো জানার জন্য ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন। আশা করি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রান্নার ভিডিওটি দেখে আরও সহজে
বাসায় রান্না করতে পারবেন হোটেলের চেয়েও সুন্দর করে। প্রবন্ধটি সংরক্ষণে রাখতে আপনার সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রাখুন।
যাতে প্রয়োজনে খুজে পেতে সহজ হয়। সাথে থাকার জন্য অন্তরের অন্তরস্থল থেকে এক রাশ প্রিতি ও ভালোবাসা রইল।