রান্না শেখা

রান্না শেখা এবং রান্না করা কেনো এতো গুরুত্বপূর্ণ?

কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে? রান্না শেখা আমাদের জন্য এতোটা জরুরী কেন? কেই প্রশ্নটা যে শুধু মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য তা নয়!অবশ্যই ছেলেদের জন্যেও বটে!
আমরা খাই-খাওয়ার মাধ্যমে বেচে থাকি।চাইলে এই কাজটা নিজের বাড়ির গৃহকর্তী না করে অন্য কেও করতে পারতো।
বর্তমানের জেনারেশনে  বিশেষ করে শহরাঞ্চলের মেয়েদের ভেতরে রান্না করার সেই আগ্রহটা আর কাজ করে না!তাদের ভাষ্যমতে,
আমরা যেমন আর দশটা নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বাইরে থেকে কিনে আনতে পারি!তেমনই খাবারটাও কিনে আনলেই তো হয়!

কথায় লজিক আছে! কিন্তু আর দশটা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের তুলনা খাবার কিন্তু অনেকাংশেই ভিন্ন! 

আর তাই আজকের আর্টিকেলে কেনো খাবার রান্না করা বা রান্না শেখা এতো গুরুত্বপূর্ণ এবং আর দশটা নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং খাবারের ভেতরে
আসল পার্থক্যটা কোথায় সেই নিয়ে আলোচনা করবো!

রান্না শেখা নিয়ে আমি কয়েকটা পয়েন্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরছিঃ

  • খাবারের মাধ্যমে আপনি বেচে থাকে,দৈহিক শক্তি পান,যা দিয়ে কাজ করেন এবং সাড়া দিন এনার্জেটিক থাকতে সহায়তা করে।যার জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে পুষ্টি সম্মত খাবার,এবং এজন্য খাবার রান্না করাটা গুরুত্বপূর্ণ!
  • এখন মনে করুন,আপনার মধ্যে খাবার রান্নার প্রতি খুব একটা আগ্রহ নেই!এবং আপনি চান রেডিমেড খাবার বা রান্নাকে একটু পুরদরুস্তর কমার্সিয়াল স্টেজে নিয়ে আশা হোক,এতে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো,যখন কোনো জিনিস কমার্সিয়াল স্টেজে আনা হয়,তার ভেতরে ২০% এটার সাথে প্রতারণা যুক্ত করবে!
  • এবং তখন কিন্তু চাইলে একজন খাদ্য বিক্রেতা,যে কিনা আপনার সারা দিনের খাবারের জোগান দেয়, সে চাইলে আপনার জীবনের অর্ধেক বিষয়-আদির উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে! কেননা খাবার-দাবার আপনার লাইফস্টাইলের অর্ধেক স্থান দখল করে রয়েছে!
  • এখন আপনি হয়তো ভাবতে পারেন,দেশে তো অনেক হোটেল-রেস্টুরন্ট আছেই!তার পরেও এতো ভনিতা করে লেখার কি দরকার? আচ্ছা আমার কাছে পালটা প্রশ্ন রয়েছে?রেস্টুরেন্টে আপনি কয়দিন যান সপ্তাহে?অধিকাংশ সময় আপনি কিন্তু বাড়িতেই সেই খাবারটা পাক করে খান?যার ফলে আপনার ফুড হ্যাবিটের উপরে তারা অতোটাও হস্তক্ষেপ করতে পারছে না ! মনে করুন, রেস্তোরায় এক প্যাকেট বিরিয়ানী বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়! অথচ আপনি চাইলে সেটা বাসায় মাত্র ১০০ টাকা বাজেটে তৈরী করতে পারেন! কিন্তু, ধরুন, পৃথীবি থেকে ঘরে রান্নার চলিত উঠে গেলো!তখন আপনাকে ঠিকই ১০০ টাকা লস দিয়ে খাবারটা কিনে খেতে হবে!

রান্না ভুল হলে সমাধান শেখা যাবে? হাঁ, যাবে নিচে পড়ুন কি ভুল হলে কি করবেন!

বেশী মাত্রায় লবণ হলে করণীয়

যে কোন তরকারি বা ডালে বেশী লবণ হলে সিদ্ধ করা আলু একটু দিয়ে দিন বা একটু ময়দা মেখে গোল গোল করে দিন।
অথবা একটু দুধ দিয়ে দিন, দেখবেন লবণতো কমবেই রান্নার স্বাদও বেড়ে যাবে বহুগুনে।

গোস্তের ঝোল পাতলা হলে করনীয়

গরু বা মুরগী অথবা যে কোন গোস্তের ঝোল যদি বেশী পাতলা হয়ে যায় তাহলে স্বাদহীন লাগে। কখনো ঠিক মশলা না কষা কিংবা বেশি কষার জন্য তিতা ও হয়ে যায়। কয়েকটি পেঁয়াজ কুচিয়ে নিয়ে ভেজে বেরেস্তা করে নিন।অল্প গোটা গরম মশলা দিন পেঁয়াজ ভাজার সময়। এই বেরেস্তা স্বাদহীন পাতলা মাংসের ঝোলে দিয়ে একটু ঢেকে রাখুন। ১৫ মিনিট পর একটু নেড়ে নামিয়ে নিন, উপরে একটু চাটমশলা দিন ব্যস, হলে গেল সঠিক গোস্তের ঝোল।

রোস্ট পুড়ে গেলে কী করবেন

রোষ্ট বা কাবাব জাতীয় খাবার পুড়ে গেলে বা লবণ বেশি হয়ে গেলে একটি পাত্রে কিছুটা টকদই, অল্প একটু লবণ ও চিনি দিয়ে এবং চাটমশলা, পুদিনা পাতা বাটা, ধনেপাতা বাটা ও সর্ষে তেল দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে রায়তা বানিয়ে কাবাবের উপরে দিয়ে পরিবেশন করুন।

তরকারিতে ঝাল বেশি হয়ে গেলে করণীয়

যে কোনও তরকারি অতিরিক্ত ঝাল হয়ে গেলে একটু দুধ ও সামান্য চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন । দেখুন ঝাল কমে গেছে।

মাছের ঝোলে আঁশটে গন্ধ কি করবে?

টমেটো

কয়েকটি টমেটো কুচিয়ে ঝোলে দিন । কিছু ধনেপাতা কুচি ও ভাজা জিড়ের গুঁড়ো উপরে ছড়িয়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন।
দেখুন ম্যাজিকের কাজ করবে নিমেষেই দূর হয়ে যাবে আঁশটে গন্ধ।

সহজে রান্না শিখতে আরো পড়ুনঃ

আশা করি ফুডলিংক বিডির এই রান্না শেখা ব্লগ টি ভালো লেগেছে। কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে দয়া করে জানাবেন।
ও হাঁ, আপনিও কিন্তু এরকম সুন্দর সুন্দর ফুড রেসিপি লিখতে বা ইউটিউবে রান্নার ভিডিও বানাতে পারেন! তাহলে এখনি যোগাযোগ করুন।
আরও ভালো জানার জন্য ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন। আশা করি রান্না শেখার উপায় কি? ভিডিওটি দেখে আরও সহজে
বাসায় রান্না করতে পারবেন হোটেলের চেয়েও সুন্দর করে। প্রবন্ধটি সংরক্ষণে রাখতে আপনার সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রাখুন।
যাতে প্রয়োজনে খুজে পেতে সহজ হয়। সাথে থাকার জন্য অন্তরের অন্তরস্থল থেকে এক রাশ প্রিতি ও ভালোবাসা রইল।

লেখাটি আবার পড়তে পড়তে চান? আপনার সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *